দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : কোভিড আবহে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ফের নতুন করে শুরু হলো 'পোড়া মাটির হাট'। 'মন্দির নগরী' হিসেবে খ্যাত বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে জোড় মন্দির প্রাঙ্গনে 'পোড়া মাটির হাট' শুরু হওয়ায় খুশি ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেই। বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, শহরের হস্ত শিল্পী, বালুচরী শিল্পীদের আবেদনকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ ও আঞ্চলিক অর্থনীতির মানোন্নয়ন, পর্যটন শিল্পের বিকাশের কথা মাথায় সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট চালু করা হলো। পোড়া মাটির হাটে অংশগ্রহণকারী হস্ত শিল্পের পসরা নিয়ে বসা বিক্রেতা, আদিবাসী লোকশিল্পী প্রত্যেকের আবশ্যিকভাবে কোভিড পরীক্ষার পাশাপাশি মাস্ক, হ্যাণ্ড গ্লাভস্ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ।
বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, শহরের হস্ত শিল্পী, বালুচরী শিল্পীদের আবেদনকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ ও আঞ্চলিক অর্থনীতির মানোন্নয়ন, পর্যটন শিল্পের বিকাশের কথা মাথায় সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট চালু করা হলো। পোড়া মাটির হাটে অংশগ্রহণকারী হস্ত শিল্পের পসরা নিয়ে বসা বিক্রেতা, আদিবাসী লোকশিল্পী প্রত্যেকের আবশ্যিকভাবে কোভিড পরীক্ষার পাশাপাশি মাস্ক, হ্যাণ্ড গ্লাভস্ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিষ্ণুপুরের পূর্বতন মহকুমাশাসক মানস মণ্ডলের উদ্যোগে শুরু হয় 'পোড়ামাটির হাটে'র পথ চলা। পরে কোভিড পরিস্থিতিতি এই হাট বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। ফের নতুন করে শুরুর দিন থেকেই মানুষ আসতে শুরু করেছেন। শহরবাসী প্রেরণা মুখার্জী, উর্মিমালা ভট্টাচার্যরা বলেন, অনেক দিন পর আবার শুরু হলো। খুব ভালো লাগছে। এভাবেই মেলা চলুক।
পোড়ামাটির হাটে পসরা নিয়ে বসা হস্তশিল্পী শ্রাবণী কুণ্ডু, সুমনা দাসরা বলেন, আট-ন'মাস বাড়িতে বসে ছিলাম। উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রির সুযোগ ছিলনা। এবার সেই সুযোগ মেলায় তারা খুশি বলে জানান।
বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক অনুপ কুমার দত্ত বলেন, পোড়ামাটির হাট নিয়ে বিষ্ণুপুরের মানুষের একটা আলাদা আবেগ আছে। আগে যেখানে শুধুমাত্র শনিবার হাট বসতো, এখন সেখানে শনি-রবি দু'দিন হাট বসবে। ফলে ছুটির দিনে বিষ্ণুপুরে আসা পর্যটক ও স্থানীয় হস্তশিল্পী সকলেই উপকৃত হবেন বলে তিনি জানান।